রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

জন্ম নিয়ন্ত্রণ ও ইসলাম!!

জন্মনিয়ন্ত্রণের কথা আলোচনায় আসলে কুরআনের একটা আয়াত উল্লেখ করে অনেকে জন্মনিয়ন্ত্রণকে নিষেধ বলে থাকেন।আসলে কুরআনের যে আয়াত ও যে হাদিস দিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণকে হারাম বলা হয়,সে সব আয়াত ও হাদীসগুলোতে দারিদ্রতার ভয়ে সন্তান হত্যাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ আয়াতের ভিতরে দারিদ্রতার ভয়ে সন্তান বন্ধ করাকেও শামিল করা যেতে পারে।

এ সম্বন্ধে পবিত্র কুরআনে দুইটি আয়াত এসেছে।
১। আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন:

وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ مِنْ إِمْلَاقٍ نَحْنُ نَرْزُقُكُمْ وَإِيَّاهُمْ

অর্থাৎ,আর তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে দারিদ্রতার কারণে হত্যা করো না। আমি তোমাদেরকে রিজিক দেই তাদেরকেও আমিই রিজিক দেব। (সুরা আনয়ামঃ১৫১)

২। অন্য আয়াতে আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেন:

وَلَا تَقْتُلُوا أَوْلَادَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلَاقٍ نَحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَإِيَّاكُمْ إِنَّ قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْئًا كَبِيرًا

অর্থাৎ,আর তোমরা তোমাদের সন্তানদেরকে দারিদ্রতার ভয়ে হত্যা করো না। আমি তাদেরকে রিজিক দেব এবং তোমাদেরকেও আমিই রিজিক দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ। (সুরা বানী ইসরাইলঃ ৩১)

হাদিস শরীফে বলা হয়েছে-

১। বুখারী শরীফসহ বিভিন্ন হাদীসের কিতাবে এসেছে---

قَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَيُّ الذَّنْبِ أَكْبَرُ عِنْدَ اللَّهِ؟ قَالَ: «أَنْ تَدْعُوَ لِلَّهِ نِدًّا وَهُوَ خَلَقَكَ» قَالَ: ثُمَّ أَيٌّ؟ قَالَ: «ثُمَّ أَنْ تَقْتُلَ وَلَدَكَ خَشْيَةَ أَنْ يَطْعَمَ مَعَكَ»

অর্থাৎ,এক ব্যক্তি রাসুল (সাঃ) এর কাছে এসে জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ)! আল্লাহ্‌ তায়ালার নিকট সবচেয়ে বড় গোনাহ কোনটি? তিনি বললেন: আল্লাহ্‌ তায়ালার নিকট বড় গুনাহ হল- আল্লাহ্‌ তায়ালা তোমাকে সৃষ্টি করা সত্ত্বেও তার সাথে শিরক [তার কোন গুনাবলীতে অংশীদার স্থাপন] করবে। তিনি বললেন: তারপর কোনটি? রাসুল (সাঃ) বললেন: তোমার সাথে খাবে এ ভয়ে তোমার সন্তানদেরকে হত্যা করবে। (বুখারী-৬৮৬১,৪৭৬১,তিরমীজি-৩১৮২,নাসায়ী-৪০১৩, মুসনাদে ইবনে আবি শায়বা-৩৬২,বায়হাকীঃ সুনানুল কুবরা- ১৫৮২২,বায়হাকীঃ সুনানুস সাগীর- ২৯২৫)

উপরের আয়াত ও হাদীস থেকে এটাই প্রমানিত হয়,দারিদ্রতার কারণে সন্তান হত্যা করা নিষিদ্ধ। আর একটা প্রাণকে অকারণে হত্যার নিষিদ্ধতা পবিত্র কুরআনের বেশ কিছু আয়াত ও হাদিসে বর্ণনা করা হয়েছে।

সাধারণভাবে যেহেতু মানুষ হত্যা করাকে ইসলামে নিষিদ্ধ করা হয়েছে তাই,মাতৃগর্ভে সন্তানকে হত্যা করাও একই পর্যায়ভুক্ত বলে গণ্য হবে;ফলে মায়ের গর্ভের সন্তান হত্যা করা একজন মানুষ হত্যা করার সমান অপরাধ বলেই বিবেচিত হবে।

আর তাই,মাতৃগর্ভে সন্তানের রুহ আসলে(গর্ভের বয়স ১২০ দিন হলে)গর্ভপাতের কোন বৈধতা ইসলাম দেয় না।এ ব্যাপারে সমস্ত ইসলামিক স্কলার একমত।

তবে,জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্বন্ধে কথা বলতে হলে আরও কয়েকটি কথা বলতে হয়। আল্লাহ্‌ তায়ালা বিবাহের ব্যবস্থা দিয়েছেন মানব প্রজন্মকে পৃথিবীকে টিকিয়ে রাখার জন্য। এজন্য মানুষের জন্য বৈধ হবে না স্থায়ী জন্মনিয়ন্ত্রনের কোন সিস্টেমকে গ্রহণ করা। তবে, সাময়িকভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করাতে ইসলাম নিষেধ করে না। কারণ, রাসুল (সাঃ) এর জীবদ্দশায় সাহাবীগণ এটা করতেন। কিন্তু, রাসুল (সাঃ) এটা জানার পরেও তাদেরকে নিষেধ না করে মৌন সম্মতি দিয়ে গেছেন।

মুসলিম শরীফের হাদীসে হযরত জাবের (রাঃ) বলেন-

كُنَّا نَعْزِلُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَبَلَغَ ذَلِكَ نَبِيَّ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَلَمْ يَنْهَنَا»

অর্থাৎ, আমরা রাসুল (সাঃ) এর যুগে আযল [পুরুষের শুক্রানু স্ত্রীর গর্ভে প্রবেশ করতে না দেয়া] করতাম। অতঃপর রাসুল (সাঃ) এর কাছে সংবাদ গিয়েছিল কিন্তু, তিনি নিষেধ করেননি। (মুসলিম-১৪৪০, বায়হাকীঃ সুনানুস সাগীর-২৫২৭, বায়হাকীঃ সুনানুল কুবরা-১৪৩০৪)

বুখারী শরীফে জাবের (রাঃ) এর সুত্রে এসেছে-

كُنَّا نَعْزِلُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَالقُرْآنُ يَنْزِلُ

অর্থাৎ, রাসুল (সাঃ) এর যুগে কুরআন নাযিল হওয়ার সময় আমরা আযল করতাম। (বুখারী- ৫২০৯)

আযল করা বা এভাবে সাময়িক সময়ের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ নিষিদ্ধ থাকলে রাসুল (সাঃ) অবশ্যই নিষেধ করতেন কিংবা আল্লাহ্‌ তায়ালা সেটা নিষেধ করে আয়াত নাযিল করতেন । কিন্তু সেগুলোর কিছুই করা হয়নি। অতএব, এটা মূলের উপরেই আছে। তথা জন্মনিয়ন্ত্রণ বৈধ হিসেবেই গণ্য হবে।

মিশরের দারুল ইফতার ফাতওয়ায় বলা হয়েছে-
১। জন্মনিয়ন্ত্রণ এমন একটা বিষয় যাকে হাদীসে নিষেধ করা হয়নি। কেননা, রাসুল (সাঃ) এর যুগে আযল বৈধ ছিল বলে প্রমাণ রয়েছে।
২। সাময়িক কিংবা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য আধুনিক সামগ্রী যেমন- ট্যাবলেট কিংবা অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করা বৈধ হিসেবে গণ্য হবে; যা ব্যবহার করা সত্ত্বেও যেকোন সময় সন্তান জন্ম দেয়ার ক্ষমতা অবশিষ্ট থাকে।

Top Ten Hindi Movie

My best 10 Hindi movie...

If You Miss Those movie...You Are Not a Movie Lovers

1.Drishyam(Thrill)
2.Chalte Chalte (Drama)
3.Veer jara (Love.. Drama)
4.My Name is Khan(Islam and terrorism)
5.Pk(Religion)
6.OMG(Religions)
7.tere zameen par(Teach)
8.Manji The mountain man (True Story.Love.Darama.)
*******
*9.The real jackpot(Hindi dubbed)
10.Jigar khaleja (Action.power)

পা ধরে সালাম??

পা ধরে সালাম বা কদমবুসি করা
শরী‘আত সম্মত নয়। আনাস (রাঃ) বলেন, জনৈক
ব্যক্তি এসে বলল, হে আল্লাহর রাসূল!
আমাদের মধ্যে কোন ব্যক্তি যখন তার কোন
ভাই বা বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাত করবে, তখন সে কি
মাথা ঝুঁকাবে বা তাকে জড়িয়ে ধরবে বা চুমু খাবে?
তিনি বললেন, না। লোকটি বলল, তাহ’লে কি
কেবল হাত ধরবে ও মুছাফাহা করবে? রাসূলুল্লাহ
(ছাঃ) বললেন, হ্যাঁ’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪৬৮০
‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়, মুছাফাহা ও মু‘আনাক্বা
অনুচ্ছেদ-৩) । কদমবুসি সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছ
যঈফ (আদাবুল মুফা্যদ হা/৯৭৫-৭৬; ঐ, ইফাবা

  • হা/৯৮৭-৮৮) ।